নোকিয়া ১১০০

২৩৪০ সাল। ভারত মহাসাগরের উত্তরে প্রায় ১০০০ কিমি দূরে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান আবিষ্কৃত হয়েছে। এখন সেখানে খনন কাজ পরিচালনা করছে সারা ও টিয়ালা। যে স্থানটিতে ওরা খনন কাজ চালাতে এসেছে তা একসময় বাংলাদেশ নামক একটি দেশের অংশ ছিল। একটি ভূমিকম্প কিভাবে পুরো একটি দেশ নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারে, মহাসাগরের গতিপথ বদলে দিতে পারে, সুউচ্চ পর্বতমালাকে ধবসিয়ে দিতে পারে, সাথে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া কিভাবে মহাদেশগুলোর মানচিত্র একটু একটু করে পালটে ফেলেছে সেসব নিয়েই একটু পড়ালেখা করছিল সারা। ঠিক এমন সময় টিয়ালার আগমন…
— সারা, দেখো।
— কী?
— এই ছোট্ট ডিভাসটা আজ আমাদের এক স্টুডেন্ট কাজ করতে করতে পেয়েছে। দেখো এটা এখনো একটিভ!
— কই দেখি দেখি!
টিয়ালা ডিভাইসটি চালু করে। মৃদু দু চারটি কোমল ছন্দময় টিংটিং সুরে ডিভাইসটি চালু হয়, আর স্ক্রিনে দুটি হাত এসে সেই পুরোনো সংস্কৃতি অনুযায়ী হ্যান্ডসেক করে। স্ক্রিনে এন ও কে আই এ ভেসে উঠে।
একদিন এই ছোট্ট ডিভাইসটি জামাল কিনে দিয়েছিল তার মাকে, চাকরির প্রথম বেতন পেয়ে। কত স্মার্ট স্মার্ট মোবাইল ফোন বের হয়েছে, অথচ মা এই সাধারণ মোবাইল পেয়েই খুশি। এই মোবাইল দিয়েই গ্রাম থেকে মা কথা বলতো জামালের সাথে। মোবাইলটা খুবই ভালো ছিল, খুবই টেকসই। জামালের ছোট বোন রিনা একদিন নাকি এই মোবাইল ঢিল দিয়ে গাছ থেকে আম পেড়েছিল। এই নোকিয়া ১১০০ এর সাথে কত শত সুখ দু:খের গল্প মিশে আছে, সারা ও টিয়ালা কোনদিন তা জানতে পারবে না।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত