ফুলকপি (বড়দের গল্প)

বাটারফ্লাই ইফেক্ট থিওরি দাবী করে প্রজাপতি ব্রাজিলে পাখা ঝাপটালে টেক্সাসে টর্নেডো হতে পারে। দিল্লীতে সকালে হাঁচি দিলে ঢাকায় পরের দিনের ভোট আগের রাতে হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ প্রজাপতির শরীর চর্চা এবং সর্দি দুটোই ভয়ঙ্কর।

পদার্থ বিজ্ঞান দাবী করে প্যারালাল ইউনিভার্স বা মাল্টিভার্সের অস্তিত্ব রয়েছে। আমাদের মহাবিশ্বের মত আরও মহাবিশ্ব রয়েছে। পৃথিবী রয়েছে। ওই পৃথিবীর প্রাণিজগৎ, প্রকৃতি, মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতারাও ঠিক আমাদের মত। যেন রথের মেলায় হারিয়ে যাওয়া যমজ ভাই।

উদ্ভিদ বিজ্ঞান দাবী করে ফুলকপি আর সর্ষা একই গোত্রভুক্ত উদ্ভিদ। চোখে সর্ষা দেখা বা ফুলকপিতে মেঘ দেখায় একই কথা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান দাবী করে রাষ্ট্রের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনীতিকরা ক্ষমতায় আসে। তারপর দেশ একই রকম থাকে, তবে তাদের সুইস ব্যাংকের একাউন্টের ভাগ্যে পরিবর্তন ঘটে যায়।

মনোবিজ্ঞান বলে, আমজনতা সারাক্ষণ সরকার ও রাজনীতিকদের দোষারোপ করে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ভুতের সাহায্যে ব্যালট বক্স ভরে ওই রাজনীতিকদেরই নির্বাচিত করে।

প্রাণীবিজ্ঞান দাবী করে বুদ্ধিজীবীরা হলেন ওই প্রাণী যারা সবসময় কাঁধে বাঁশের মই রাখে। জাতি সমস্যায় পড়লে তারা মই বেয়ে আকাশে উঠে যায়। সমস্যা কেটে গেলে নিচে নেমে এসে একে অন্যের পিছনে মই ঢুকানোতে ব্যস্ত হয়।

  • উপরের সব বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব মেনে বিজ্ঞানমনস্ক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ফলিত বিজ্ঞানের পদ্ধতিতে রান্না করা হয়েছে ফুলকপি উপন্যাস। খেতে বিস্বাদ ও বিরক্তিকর। পাঠ শেষে পাঠক উপলব্ধি করবেন এই উপন্যাস না পড়ে সংগীতগুরু ড. মাহফুজুর রহমানের গান শুনলে বা চেতনার বাতিঘর ড. জাফর ইকবালের কলাম পড়লে সময়টা অপচয় হত  না।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত