বড়লোকের জ্বালা

রাইতে আর সবার মতো আমিও রাস্তাতেই ঘুমাই। কিন্তু মশার যন্ত্রণায় টিকতে পারি না। ঘুমাইতে পারি না শান্তিমতো। রাস্তায় থাহি, গরিব মানুষ। মন চাইলেই তো আর মশারি কিনতে পারি না আমি। একটা মশারির দাম কমসে কম দেড়শ ট্যাহা! এদিকে রাইতে ঘুমাইতে পারি না। শ্যাষম্যাশ ট্যাহা কয়ডা জমাইয়া মশারিডা কিনন্যাই ফালাইলাম। যাত্রী ছাউনির বেঞ্চে মশারির দুই কুনা বানলাম। বাকি দুই কুনা বানতে পারলাম না। থাউক, এমনেই আমার চলবো। এহন নিজেরে আমার মনে হইতাছে, গরিবগো মইধ্যে বড়লুক। রাস্তায় থাকলেও আমার মশারী আছে। মশারির চাইর কুনার মইধ্যে দুই কুনা বানতে পারি।।তয় কি? মশারি তো আছে! কিন্তু মশারির ভিত্রে শুইয়াও সেই রাইতে আমার আর ঘুম আহে না। সারা দিন এই মশারি আমি কই রাইখা কামে যামু? টেনশনে পইড়া গেলাম।।মশারি তো চুরি অইয়া যাইবো! তাইলে লগে লইয়াই সব সময় চলতে অইবো! বাউ রে! বড়লুক হউনের জ্বালা আছে।

৫ অক্টোবর, ২০২১

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত