খোদার মর্জি

লাল মিয়া আর সোনা মিয়া দুই বন্ধু, টাউনহলে তাদের দেখা। একজন যাবে পতিতালয়ে, অন্যজন মাসজিদে। দুজনাই দুজনাকে দাওয়াত দিলো, কিন্তু শেষমেষ দুজনার পথই আলাদা হয়ে গেলো।

সোনা মিয়া মাসজিদে বসে চিন্তা করতেসে “এই ভরপুর যৌবনে এট্টু আট্টু বেশ্যা গমনে কী আর ক্ষতি হত, পরে পরম দয়ালুর কাছে মাফ চেয়ে নিলেই হত।”

লাল মিয়া পতিতার নগ্ন শরীরের সামনে বসে চিন্তা করতেসে ” শক্তি থাকাকালীন কিছু এবাদাত করে রাখলে মন্দ হত না, বিধাতা দয়া করে হয়তোবা বেহেশত দেবেন।”

লাল মিয়ার মন পড়ে রইলো খতিবের বাণীতে, আর সোনা মিয়ার মন পড়ে রইলো বারবনিতার নাভীতে।

বিধাতা লালের কপালে পূণ্য লিখলেন আর সোনার কপালে লিখলেন পাপ। এভাবেই কিছু মানুষ মাসজিদে বসে পাপ কামায় আর কিছু মানুষ পতিতালয়ে কামায় পূণ্য।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত