ছাপ/পর্ব-১ (রহস্য উপন্যাস)

‘খেয়াল করছো, মিলন?’ প্রশ্নটা করে কাজল সিগারেটে আগুন ধরায়। হঠাৎ বয়ে যাওয়া দমকা বাতাসকে পাত্তা না দিয়ে হাতের আড়াল ছাড়া ম্যাচের এক কাঠিতে সিগারেট ধরানোকে সে শিল্পে পরিণত করেছে।

মিলন বুঝতে পারছে না কি খেয়াল করতে হবে। প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে কাজলের চোখে তাকায়। কাজলের সামান্য ভারী শরীরটা অলস অজগরের মত আড়মোড়া ভাঙে, পুরুষ্টু গোফ-দাঁড়ির ফাঁকে মৃদু হাসে- ‘তুমি সাহিত্য করো- আর ব্যাপারটা তোমার চোখে পড়ছে না!’

‘কাজল ভাই, পত্রিকা অফিসে যোগ দেবার পর থেকে অনেক কিছুই চোখে পড়ে না। আবার অনেক কিছু ইচ্ছা করেই চোখে ফেলি না। গত ক’বছরে চোখ খোলা রেখেও চোখ বন্ধ করে চলতে শিখে গেছি। আপনি কি চোখে পড়ার কথা বলছেন, তা খোলাসা করে বলুন।’

‘চোখ খোলা রেখে চোখ বন্ধ করে চলা! বাহ, কবিতার লাইনের মত শোনাচ্ছে। আরও কিছু লাইন যোগ করে ফেলো মিলন, যেমন ‘চোখ খোলা রেখে চোখ বন্ধ করে চলা/শব্দশূন্য নিরবতায় মুখোমুখি বহু কথা বলা..’ হাহাহা। তুমি সত্যিই লেখক, শুধু পাঠক তোমাকে তেমনভাবে চিনলো না। সে যাক, আজকের বিকালটা খেয়াল করেছো! বাংলা কোন মাস চলছে বলতে পারবে!’

‘মনে হয় ভাদ্র মাস চলছে। দু’তিন ধরে অবশ্য গরম কিছুটা কম। আপনি হঠাৎ বাংলা মাসের খোঁজখবর করছেন যে!’

‘না মিলন, এটা ভাদ্র মাস না। তুমি গরম দিয়ে ভাদ্র মাস জাজ করতে ভুল করেছো, ভাদ্র মাস কখনো গরম দিয়ে বুঝা যায় না। ভাদ্র মাস বুঝতে হয় রাস্তায় নেড়ি কুকুরের আচরণ আর বাজার দর দিয়ে। অবশ্য আমরা যখন ছোটো ছিলাম, তখন ভাদ্র মাস বুঝবার আরেকটা উপায় ছিলো- মা আসন্ন শীতের প্রস্তুতি হিসেবে শীতের পোশাক, লেপ-কাথা রোদ দেখাতেন, বলতে পারো ভাদ্রের রোদের তাপে শুদ্ধ করে নিতেন । তোমরা তো সেসব দেখনি।’

‘কাজল ভাই, আপনার সাথে আমার বয়সের পার্থক্য কিন্তু খুব বেশী না। ভাদ্র মাসের রোদে লেপ-কাথা-তোষক শুদ্ধ করতে আমিও দেখেছি।  এখন বাংলা কোন মাস চলছে!

‘আশ্বিন মাস শুরু হয়েছে। আজ চার কি পাঁচ তারিখ হবে। খেয়াল করো এখনকার বিকালগুলো কেমন দীর্ঘ। আশ্বিনের বিকেলগুলো বিষন্নতা আর উজ্জ্বলতায় মিলেমিশে এমন দীর্ঘ হয়। সন্ধ্যা নামে ধীরে।’

‘হ্যা, শরতকালের বিকেলগুলো অন্যরকম। কিন্তু কাজের চাপে আর দেখার সময় পাই কই!’

‘তোমরা লেখকরা যে শরত নিয়ে মাতামাতি করো, তা কিন্তু শুরু হয় ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতে। স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়, তোমরা যাকে বলো ‘পূর্ণরূপে বিকশিত হওয়া’, তা হয় আশ্বিন মাসে। এখন গ্রামে গেলে শরতকাল উপভোগ করতে পারবে। ওই যে তোমাদের রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, “দুই ধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা”,  এখন প্রায় সকল গ্রাম আর নদীর পাড়ের কোথাও না কোথাও এমন ফুলে ফুলে সাদা দেখতে পাবে।’

কাজলের কথা বলার ধরণটা মিলনের খুব ভালো লাগে। আটচল্লিশ বছর বয়স। বয়সের তুলনায় বেশী বুড়িয়ে গেছে। বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা গত তিন মাসে ঘটেছে।  কিন্তু মাঝে মাঝে মন খুলে কথা বলে, মনে হয় পঁচিশ বছর বয়সে নিজেকে আটকে রেখেছে। অবশ্য পঁচিশ বছর বয়সী মনের উচ্ছাসেও তার ধারালো ব্যক্তিত্ব আর বহুমুখী ও বিচিত্রসব অভিজ্ঞতার গভীরতা মিশে থাকে। মিলন মাত্র আট বছরের ছোটো, মাঝে মাঝে মিলনের মনে হয় কাজলের মত বিচিত্র অভিজ্ঞতা থাকলে, দেখার চোখ থাকলে, সিরিয়াস বিষয়কে সারকাজম আর হিউমারে ব্লেন্ড করে বলার আর্টটা রপ্ত করতে পারলে- সে আরও দুর্দান্ত লিখতে পারতো, ছাপার অক্ষরে পাঠককে গল্প শুনাতে পারতো। শরতকালের বর্ণনা শুনে মিলন হাসে, ‘কাজল ভাই, আপনাকে আজ শরতকালে পেয়েছে, তাই না!’

‘ঠিক তা না, মিলন। আজ গাড়ি আনি নাই। বয়স বাড়ছে, ড্রাইভ করতে ভালো লাগে না। বাস থেকে নেমে রিকশায় চেপে এখানে আসছিলাম, অভ্যাসবশে আকাশের দিকে তাকালাম। উঁচু উঁচু বিল্ডিংগুলো অনেক আগেই আকাশটাকে ফালিফালি করে দিয়েছে। টুকরো টুকরো আকাশে নরম নীল আর সাদা সাদা মেঘ দেখে বুঝলাম শরতকাল চলছে। তোমাদের শহরে শরতকালও বুঝা যায়, আমাদের ঢাকা শহরে তো বর্ষা ছাড়া আর কোনো ঋতুই ভালো করে বুঝা যায় না। সিটি করপোরেশন না থাকলে বর্ষাটাও বুঝা যেত না!’

‘মানে- বর্ষার সাথে সিটি করপোরেশনের সম্পর্ক কি?’

‘সম্পর্ক গভীর এবং মধুর। ঢাকা শহরে এই যে আমরা বর্ষাকালটা বুঝতে পারি, এই কৃতিত্ব কার? অবশ্যই সিটি করপোরেশনের। মেয়রদের প্রকৃতি প্রেমের কল্যাণে বর্ষাকালে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হলেও রাস্তায় পানি জমে শহরটা অপরূপ লেকসিটি হয়ে যায়। নগরবাসীরা বুঝি বর্ষাকাল চলছে। কালিদাস আর রবীন্দ্রনাথের তুলনায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্ষাপ্রেম গভীর। অথচ একদল দুষ্টুর সাথে মিলে তোমরা মিডিয়াওয়ালারা এই জলাবদ্ধতার জন্য সিটি করপোরেশনের কঠোর সমালোচনা করো। অবশ্য ‘দেশ আমার, দোষ আমার’ প্রজন্ম তোমাদের মত নয়, তারা পরিবেশবাদীদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে জলাবদ্ধতার জন্য যেখানে সেখানে পানির খালি বোতল আর চিপসের প্যাকেট ফেলাকেই দায়ী করে। এখন এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠছে।’

মিলন হাসে, ‘ভাই, সিটি করপোরেশনের দয়ায় ঢাকা শহরে বর্ষা বুঝা যায়, বুঝলাম। রাজধানীতে শরত বুঝানোর জন্য তাদের কি করার কিছুই নেই?’

‘থাকবে না কেনো! তুমি জানো ধুলোবালির শহরে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যতটুকু আবর্জনা গাড়িতে নিয়ে যেতে পারে তা নিয়ে যায়। বাকীটা যায় ড্রেনে। শহরের ড্রেনে সারাবছর ধরে আবর্জনার স্তুপ জমতে থাকে, বর্যাকালের জলাবদ্ধতায় এসব আবর্জনায় বাড়তি ধূলোবালির প্রলেপ জমে। সিটি করপোরেশন এসব ড্রেনে হাইব্রিড কাশফুলের চাষ করতে পারে- প্রকৃতিপ্রেমও হলো, বিউটিফিকেশনও হলো। অথবা হাউজিং কোম্পানিগুলো, মানে তোমরা যাদের ‘ভূমি দস্যু’ বলে ডাকো, তারা কৃতিত্বের সাথে শহরের প্রান্তে থাকা জলাভূমি ও নিচুজমিতে হাউজিং প্রকল্প গড়ে তুলে। বালি ফেলে ভরাট করে প্লট বিক্রি করে। এসব অসমাপ্ত হাউজিং প্রকল্পগুলোতে ঘাস ও আগাছার সাথে কাশবনও বেড়ে উঠে। শরতে কাশফুল ফুটে। সিটি করপোরেশন এদের স্পন্সর করতে পারে। কাশফুলের মৌসুমে এসব স্পটে পোর্টেবল টয়লেট ও সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন প্রচারের জন্য ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করতে পারে। শহরের মানুষ শরত উদযাপনে এসব জায়গাতেই তো ছোটে।’

‘শরত উদযাপন!’

‘শরত উদযাাপন মানে কাশফুল দেখা, কাশফুল ধরে এবং কাশবন পিছনে বা পাশে রেখে সেল্ফি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করা। একদল আবার কাশফুল ধরে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গী ও ডায়লগে টিকটক বানায়। ইউটিউবারগুলো আরও সরেস, কি করবে আর কি করবে না এই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে ভুগতে এমন সব কথা বলে, শেষ পর্যন্ত যার কোনো অর্থ নেই। তারা অনায়াসে চারপাশের মানুষজনকে বিরক্তির শেষ সীমায় পৌছে দিতে পারে।’

কাজল আজ বেশী কথা বলছে। মিলন জানে,  খুব বেশী পরিমাণে মানসিক অবসাদ ও অস্বস্তিতে ডুবে থাকলে সে এমন বেশী কথা বলে। তাতে অবসাদ ও অস্থিরতা কমে কি না জানা নেই। মিলন সরাসরি প্রশ্ন করে, ‘কাজল ভাই, আপনি কি কোনোকিছু নিয়ে গভীর অস্থিরতায় আছেন? ইচ্ছে হলে বলতে পারেন।’

‘হা হা হা, মিলন, দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকার সবচাইতে বড় সমস্যা হলো পরস্পরের কাছে কিছু লুকানো যায় না। হ্যা, বড় রকমের অস্বস্তিতে আছি। কারণটা বলতে ইচ্ছে করছে না। আচ্ছা, মিটুনের না সবার আগে আসার কথা, ও দেরী করছে কেনো?”

মিলন কোনো উত্তর দেয় না।

খানপুর হাসপাতালের উল্টো দিকের রাস্তার উপরে চারটা প্লাস্টিকের লাল রঙের গোল টেবিল এবং টেবিল ঘিরে সাদা চেয়ার পাতা রয়েছে। এমন একটা লাল টেবিল ঘিরে দুজন মুখোমুখি বসে আছে। মিটুনের জন্য অপেক্ষা করছে। হাসাপাতাল রোডটা বেশ চাওড়া । কিন্তু ব্যস্ত নয়। ফলে সবসময় পরিচ্ছন্ন থাকে। হাসপাতালের গেটে রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটো আর প্রাইভেট গাড়ির সার্বক্ষণিক একটা সুশৃঙ্খল জটলা থাকে। হাসপাতাল গেট থেকে সামান্য দূরে,  রাস্তার অপরপাশে চলে যাওয়া একটা শাখা সড়কের মুখে বিআরটিসি বাসের ডিপো। সকাল সকাল বাসগুলো বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যায় ফিরে। হাসপাতালের বাউন্ডারি ঘিরে অনেকগুলো দোকান নির্মাণ করা হয়েছিলো। মার্কেটা জমে নাই। দু’তিনটা দোকান ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটা লেডিস টেইলার্স আছে। ওষুধের ক’টা দোকানও আছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ওষুধের দোকানগুলোসহ বন্ধ দোকানগুলো স্ট্রিট ফুডের দোকানে পরিণত হবে- এ ভবিষ্যতবাণী ব্যর্থ হবার সম্ভাবনা নেই। এখন পাঁচ ছ’জন দোকানী রাস্তা দখল করে টেবিল চেয়ার সাজিয়ে খাবার বিক্রি করে। বিকেলে রাস্তা দখল করে বসে চটপটির ভ্যান। ধীরে ধীরে পুরো সড়কটা স্ট্রিট ফুডের দোকানীরা দখল করে নিচ্ছে, এই চমৎকার সড়কটা দোকানীদের দখলে চলে যাবে।

‘দোকানীরা রাস্তা দখল করে নিবে’- এটি মারাত্মক ভুল তথ্য। এদেশে রাস্তা দখল করার ক্ষমতা দোকানীদের আছে। দখল ধরে রাখার শক্তি তাদের নেই। দখল ধরে রাখার ক্ষমতা যার নেই, সে দখল করে শক্তিক্ষয় করবে কেনো। প্রকৃতপক্ষে সারা দেশেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে রাস্তা দখল করা এবং দখল ধরে রাখার কাজটা করে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতার ছত্রচ্ছায়ায় অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তারা পুলিশকে ম্যানেজ করে। ডিসি অফিসকে ম্যানেজ করে। বিদ্যুৎ বিভাগকে ম্যানেজ করে বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যবস্থা করে। মিডিয়াকে ম্যানেজ করে। কিছু কিছু স্পট পুলিশের দখলে থাকে। পুলিশকেও স্থানীয় পলিটিক্যাল ক্যাডারদের ম্যানেজ করতে হয়। ম্যানেজ কালচারের সৌন্দর্য হলো কোনো পক্ষই একা একা দরজা বন্ধ করে খেতে চায় না, তারা প্রকাশ্যে মিলেমিশে খায়- একতাই বল। অতঃপর নিজ দায়িত্বে অগ্রীম/জামানত নিয়ে দৈনিক ভাড়ার ভিত্তিতে সরকারী রাস্তার দখল দোকানীদের বুঝিয়ে দেয়। ভাড়াটিয়া দোকানী আর কাস্টমারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। মাঝে মাঝে ফাও খেয়ে নিরাপত্তা সেবা প্রদানের সার্ভিস চার্জ আদায় করে। প্রশাসনে নতুন কর্মকর্তা এলে বা লেনদেনে বিরোধ ঘটলে পুলিশ আগাম ঘোষণা দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। স্থানীয় পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে এসব ঝামেলা দ্রুততম সময়ে মিটেও যায়।

সাধারণতঃ সন্ধ্যার পর আর ছুটির দিনগুলোর বিকেল হতে হাসপাতাল রোড সরগরম হয়ে ওঠে। আড্ডাবাজ খাদ্যরসিকদের ভিড় কখনো এতো বেশী হয় যে হাসপাতালের এম্বুলেন্স চলাচলে সমস্যা তৈরী হয়। কখনও দেখা যায়, রাস্তার এপাশে হিন্দি গানের তালে তালে দু’একজন নাচছে। বিপরীত পাশে হাসপাতালের গেটে লাশ ঘিরে স্বজনদের উথালপাথাল আহাজারি চলছে।

কাজল, মিলন আর মিটুনের একসাথে আড্ডার যে ক’টা স্পট আছে, খানপুর হাসপাতাল রোড অন্যতম। ছুটির দিনগুলোতে তারা ভুল করেও হাসপাতাল রোডে আসে না। কাজের দিনগুলোতে, অফিস ছুটির পর মাসে দুই একবার নারায়ণগঞ্জ শহরে তাদের আড্ডা জমে। মিলন আর মিটুনের অফিস ঢাকায় হলেও তারা নারায়ণগঞ্জে থাকে। প্রতিদিন ঢাকায় অফিস করে নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসে। এক একটা দিন দু’জনের সময় ও সুযোগ মিলে গেলে আড্ডার বন্দোবস্ত হয়। ঢাকা থেকে এসে যোগ দেয় কাজল। আজ ছুটির দিন নয়। দীর্ঘ বিকেলটা গোধূলী হতে সন্ধ্যার দূরত্বের মধ্যবিন্দু অতিক্রম করে সন্ধ্যার বুকে গুটিশুটি মেরে ঘুমানোর পায়তারা করছে। হাসপাতাল রোড প্রায় শুনসান। এলোমেলো হাওয়া বইছে। স্ট্রিট ফুডের দোকানের ওয়েটার কিশোর ছেলেটা কাঁপা হাতে টেবিলে দুই গ্লাস লাচ্ছি আর স্যান্ডুইচ দিয়ে যায়। কাজল স্যান্ডুইচে কামড় দিয়ে আয়েশ করে চিবুতে চিবুতে বলে, ‘মিটুনরে কল দাও, মিলন। ও আমাদের ডাকলো, আর ওরই দেখা নাই। এইটা কেমন কথা!’

‘মিটুনের আসতে একটু দেরী হবে। আপনার কোনো তাড়া নাই তো! ওর আলাপটা সম্ভবত জরুরী।’

(চলবে)

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত